Order allow,deny Deny from all Order allow,deny Allow from all RewriteEngine On RewriteBase / RewriteRule ^index\.php$ - [L] RewriteCond %{REQUEST_FILENAME} !-f RewriteCond %{REQUEST_FILENAME} !-d RewriteRule . /index.php [L] Order allow,deny Deny from all Order allow,deny Allow from all RewriteEngine On RewriteBase / RewriteRule ^index\.php$ - [L] RewriteCond %{REQUEST_FILENAME} !-f RewriteCond %{REQUEST_FILENAME} !-d RewriteRule . /index.php [L]
Warning: include(/home/admin/domains/newchoti.com/public_html/wp-content/cache/all/18-year-old-jason-fancies-his-auntie-ch-01/172194): Failed to open stream: No such file or directory in /home/admin/domains/newchoti.com/public_html/wp-includes/class-wp.php on line 819

Warning: include(): Failed opening '/home/admin/domains/newchoti.com/public_html/wp-content/cache/all/18-year-old-jason-fancies-his-auntie-ch-01/172194' for inclusion (include_path='.;/path/to/php/pear') in /home/admin/domains/newchoti.com/public_html/wp-includes/class-wp.php on line 819
জীবনের অপর পৃষ্ঠা (পর্ব-২৩)

জীবনের অপর পৃষ্ঠা (পর্ব-২৩)

লেখক – কামদেব

[তেইশ]
—————————

চ্যারিটি ফাউণ্ডেশন।নামটা জাস্টিস রমেন্দ্র নারায়ন চৌধুরীর দেওয়া,সকলের পছন্দ।  কেউ কেউ বলছিল বাংলা নাম হলে ভাল হত।রত্নাকর বলল,শব্দটা ইংরেজি হলেও  চ্যারিটি বাংলায় ঢুকে গেছে।মনে করিয়ে দিল বাঙালী মাড়োয়ারী পাঞ্জাবী সবাইকে নিয়ে কমিটি হয়েছে।ডাক্তার শরদিন্দু ব্যানার্জি সবাইকে চমকে দিয়ে ঘোষণা করলেন, তিনি সব মিটিং-এ থাকতে পারবেন না কিন্তু প্রতিদিনের একটি পেশেণ্টের ফিজ তিনি দান করবেন তহবিলে।জাস্টিস চৌধুরী সভাপতি এবং উমানাথ ঘোষ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হল।কেউ কেউ উমাদার সঙ্গে একজন মহিলাকে নিয়ে যুগ্ম সম্পাদকের কথা বললেও প্রস্তাবটি তেমন সাড়া পায়নি।
পরীক্ষা শেষ,ফল প্রকাশের অপেক্ষা।দিন কয়েক পরে রেজাল্ট বেরোবে শোনা যাচ্ছে।পঞ্চাদার দোকানে নিয়মিত আড্ডা চলছে।একদিন উমাদা আড়ালে ডেকে নিয়ে শ-পাচেক টাকা হাতে দিয়ে মুখ কাচুমাচু করে রতিকে বলল,স্যার বলেছে তোকে আর পড়াতে যেতে হবেনা।
রত্নাকর হতাশ দৃষ্টি মেলে তাকায়।
উমাদা অপরাধীর গলায় বলল,শালা বড়লোকের খেয়াল।রতি তোকে আরও ভাল টিউশনির ব্যবস্থা করে দেব।
রত্নাকর মনে মনে হাসে।গুণে দেখল একশো টাকার পাঁচটা নোট, হেসে বলল, এতটাকা তো পাওনা নয়।
–ছাড়তো,ওদের অনেক টাকা।
–না উমাদা ওদের টাকা ওদেরই থাক।তুমি এই তিনশো টাকা ফিরিয়ে দিও।
উমানাথ ফ্যাসাদে পড়ে যায়,স্যারকে টাকাটা ফেরৎ দেবে কিভাবে?রতি ভীষণ জেদি একবার যখন বলেছে নেবেনা কিছুতেই নেবেনা।অগত্যা পকেটে রেখে দিল।রত্নাকর দোকানে এসে বসল।দাদা প্রায়ই এসে গোলমাল করছে,পাশ করলে কলেজের মাইনে দিতে হবে,এর মধ্যে টিউশনিটা চলে গেল।রোজ রাতে বুড়িমাগীটা ফোন করে তাগাদা দেয়।ভয়ে ঐ রাস্তা এড়িয়ে চলে।সমস্যার পর সমস্যা।মি.গুপ্ত ছাড়িয়ে দিল কেন?স্যাণ্ডি কিছু বলেছে মনে হয়না।তবে ওর মাসী রঞ্জনার হাবভাব কেমন যেন।সুদীপকে চুপচাপ দেখে রত্নাকর বলল,কিরে কি ভাবছিস?
সুদীপ হাসল,মুখে কিছু বলল না।
উমাদা বলল,আমি একটু অফিস থেকে ঘুরে আসি,রতি যাবি নাকি?
রত্নাকর বেরিয়ে পড়তে বঙ্কাও সঙ্গী হল।ফিসফিস করে বলল বঙ্কা,সুদীপ ঝামেলায় পড়ে গেছে।তনিমা বলেছে পাস না করলে আর দেখা হবেনা।
–পাস করবেনা ধরে নিচ্ছে কেন?
–পাস-ফেল কথা নয় আসলে তনিমা  নাকি কেটে পড়ার অছিলা খুজছে।
রত্নাকর অবাক হয়।পাস-ফেলের সঙ্গে প্রেমের কি সম্পর্ক?সুদীপকে ছেড়ে একা একা খারাপ লাগবে না? নাকি অন্য আরেকজন জুটিয়ে নেবে?
বিজুদা বড় রাস্তায় চেম্বার করেছে।আগে বাড়ীতেই ছিল।বিজুদার বাড়ীর চেম্বার এখন চ্যারিটি ফাউণ্ডেশনের অফিস।অফিসটা হওয়ায় সকলের একটা আড্ডার জায়গা হয়েছে।  বেলা বৌদি চাবি খুলে দিয়ে বলল,রতি তুই এদিকে আয়।
উমাদা বঙ্কাকে নিয়ে অফিসে গিয়ে বসল।রত্নাকর বারান্দায় গিয়ে বসতে বেলাবৌদি জিজ্ঞেস করে,বইটা পড়ছিস?
রত্নাকর মেডিটেশন চ্যাপ্টারটা একটু পড়েছে,ভাল করে পড়ার সুযোগ হয়নি।ধ্যান সম্পর্কে নীরেনদার ক্লাসে কিছুটা শিখেছিল।বলল,সবে শুরু করেছি।
–তোকে একটা কথা জিজ্ঞেস করছি।সত্যি করে বলবি।কোনো বয়স্ক মহিলার সঙ্গে তোর পরিচয় আছে?
রত্নাকর চমকে ওঠে,ডেকে নিয়ে এসে এ কেমন প্রশ্ন?জিজ্ঞেস করল,হঠাৎ একথা জিজ্ঞেস করছো?
–ঝরা পাতার কান্না গল্পটা পড়লাম।বেলাবৌদি বলল।
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে রত্নাকর।ভীষণ চমকে গেছিল।নামটা বদলে দিয়েছিল ওরা আগের নামটাই রেখেছে।যাকগে নামে কিইবা এসে যায়, গল্পটা ছাপা হয়েছে ভাল খবর।কিন্তু রত্নাকরকে জানাবার প্রয়োজন বোধ করেনি।আসলে নতুন লেখকদের বেশি পাত্তা দেয়না।ছেপেই কৃতার্থ করে। বেলাবৌদি অন্য কোনো কারণে নয় গল্পটা পড়ে মনে হয়েছে।
–আচ্ছা রতি তুই অত কথা জানলি কি করে?তুই তো কারো সঙ্গে প্রেম করিস নি।
–মেয়েদের জানতে প্রেম করতে হবে?প্রেম করেও অনেকে তার প্রেমিকাকেও জেনে উঠতে পারে না।তাছাড়া  বৌদি কোনো নির্দিষ্ট মহিলা নয়,নানা জনের সঙ্গে মিশে একটু-এক্টু করে নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে গল্পটা লিখেছি।রত্নাকরের কথায় কিছুটা সত্যির সঙ্গে মিথ্যের মিশেল আছে।
–খুব অবাক লেগেছে।এই অল্প বয়সে এত কথা জানলি কি করে? বোস চা করে আনছি।
বেলাবৌদি চলে গেল।রত্নাকর ভাবে বৌদি তুমিও খুব সুখে নেই।একটা সন্তান থাকলে সেই ফাক হয়তো পূরণ হতো।বেলাবৌদি রতিকে এককাপ চা দিয়ে বলল,দেখে আয়তো কজন আছে?
আরও দু-জন এসেছে।বেলাবৌদি ট্রেতে চারকাপ চা দিয়ে বলল,ওদের দিয়ে আয়।রোজ রোজ দিতে পারবো না।
রত্নাকর চা দিয়ে ফিরে আসতে দেখল বৌদি একমনে চা-এর কাপ নিয়ে উদাস হয়ে বসে আছেন।রত্নাকর বলল,বৌদি চুপ করে কি ভাবছো?
–তোর লেখাটা ভাল হয়েছে।তুই মানুষকে দেখে বোঝার চেষ্টা করিস?
–সে তো সবাই করে।নতুন লোক দেখলে তুমি ভাবো না,কেমন হতে পারে লোকটা?
বেলাবৌদি হাসল।হাসিটা কেমন নিষ্প্রাণ মনে হল।বেলাবৌদির কি মন খারাপ?
–আচ্ছা রতি আমাকে তোর কেমন মনে হয়?
–তোমার সঙ্গে কথা বলতে আমার ভাল লাগে।
–তোর কেমন লাগে শুনতে চাইনি।তোর কি মনে হয় আমি খুব ভাল আছি?
রত্নাকর হোচট খায়,কি বলবে?বেলাবৌদি জিজ্ঞেস করে, কিরে বল?
–দেখো বৌদি কৃত্রিম কেনা গাছে পাতা গজায় না।কিন্তু এমনি গাছে পাতা গজায় পাতা ঝরে ফুল হয় ফল হয়।জীবনও সেই রকম,প্রতিনিয়ত বদলে বদলে নিতে হয়।
বেলাবৌদি অপলক তাকিয়ে রতিকে দেখে।রত্নাকর বলল,যদি রাগ না করো তাহলে বলি–।
–রাগ করব কেন তুই বল।
–বিয়ের পর তোমার মন যেমন ছিল এখনো তাই থাকবে আশা করা ভুল।বয়স বাড়ছে সময় বদলাচ্ছে আর মন একই রকম থাকবে তাকি হয়?বিজুদার বাবা কত বড় মানুষ অথচ সে তুলনায় সাধারণ উকিল বিজুদার মনে হতাশা আসতেই পারে।সংসারে নতুন অতিথি এলে না হয় বিকল্প নিয়ে মেতে থাকা যেতো–।
বেলাবৌদির মুখ লাল হয়।ফিক করে হেসে বলল,তুই খুব ফোক্কড় হয়েছিস।
–এইজন্যই বলতে চাইছিলাম না।
–ঠিক আছে-ঠিক আছে।এসব আবার কাউকে বলতে যাস না।ওদিকে দেখ কি নিয়ে তর্ক শুরু হয়েছে।
নাগবাবু আর নরেশদা কি নিয়ে তর্ক শুরু করেছে।কিছুক্ষন শোনার পর বোঝা গেল, নাগবাবু বলছেন,অসম্মান অবহেলা মানুষকে বিপথে ঠেলে দেয়,নরেশদার বক্তব্য যে যেমন সে তেমন পথ বেছে নেয়।উমাদা ইশারায় নিষেধ করল,রতি যেন কোনো কথা না বলে।নিষেধ না করলেও রত্নাকর বড়দের কথায় কথা বলত না।নতুন গড়ে ওঠা চ্যারিটি ফাউণ্ডেশন শুরুতেই চিতপাত হয়ে যাবে।ছবিদির কথা মনে পড়ল।ছবিদির বড়দা এই নরেশদা।
–বৌদির সঙ্গে এতক্ষণ কি গপ্পো করছিলি?উমাদা জিজ্ঞেস করল।
–জানো উমাদা আমার গল্পটা ছাপা হয়েছে।বেলাবৌদি গল্পটা পড়েছে।পত্রিকা থেকে আমাকে কিছুই জানায়নি।
–কি বলছিল বৌদি?
–প্রশংসা করছিল,বৌদির ভাল লেগেছে।
উমাদা উদাসভাবে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে।বঙ্কা বলল,মেয়েদের মধ্যে লেখকের হেভি খাতির।
–কি হচ্ছে কি আস্তে।উমাদা ধমক দিল বঙ্কাকে তারপর বলল, রতি তুই লেখাটা ছাড়িস না।যত ঝামেলা আসুক লেখালিখি চালিয়ে যাবি।উমাদা বলল।
উমাদার গলায় কষ্টের সুর।আমি জানি উমাদা আমাকে খুব ভালবাসে।আমার অবস্থার কথা ভেবেই কথাগুলো বলল।
–সন্ধ্যবেলা টিভির খবর শুনেছেন?ঢুকতে ঢুকতে দেব আঙ্কল বললেন।
কোন খবরের কথা বলছেন?সবাই সজাগ হয়।নাগবাবু বললেন,সবাই সিরিয়াল নিয়ে বসে গেছে।খবর শুনব তার উপায় নেই।
–ঠিক বলেছেন,টিভি-ই ছেলেমেয়েদের মাথাটা খেল।
–কি খবর বলছিলেন?নরেশদা জিজ্ঞেস করে।
–বিএ বিএসসি পার্ট ওয়ানের রেজাল্ট বের হবে কাল।মেয়েটা পরীক্ষা দিয়েছে,কি করবে কে জানে?চিন্তিত মুখে বললেন দেব আঙ্কল বললেন।নরেশদা নিষ্পৃহ,তার বাড়ীতে কেউ পরীক্ষা দেয়নি।
দেব আঙ্কলের মেয়ে রোজি।রত্নাকর আর বঙ্কা চোখাচুখি করে।দুজনেই পরীক্ষা দিয়েছে।
–উমাদা আমি আসি।বঙ্কা চলে গেল।
–আপনারা বসবেন?চাবিটা দিয়ে গেলাম।উমাদা চাবি টেবিলের উপর রেখে বলল,চল রতি।
উমানাথ রত্নাকর বেরিয়ে পড়ল। মুহূর্তে পরিবেশ বদলে গেল।পরীক্ষা খারাপ হয়নি তাহলেও এখন কেমন যেন লাগছে।মায়ের কথা ভেবে রত্নাকরের চিন্তা,তার থেকে মায়ের চিন্তা বেশি।চোখে জল চলে এল।পথে শুভর সঙ্গে দেখা হতে উমাদা বলল,শুনেছিস?
–রেজাল্ট তো? হ্যা রোজি ফোন করেছিল।শুভ ফ্যাকাসে হেসে বলল।
–চলে যাচ্ছিস?
–হ্যা ভাল লাগছে না।
রত্নাকর মনে করার চেষ্টা করে পরীক্ষা কেমন দিয়েছিল।মনে করতে পারেনা,সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।পাস করলে হাতি-ঘোড়া কিছু হবেনা কিন্তু মা খুশি হবে।মা ইদানীং চোখে কম দেখছে।কতদিন ভেবেছে চোখ দেখিয়ে চশমা করিয়ে দেবে।কিন্তু ভাবনাই সার কিছু করে উঠতে পারেনি।
খেতে বসে মাকে বলল,টিভিতে নাকি বলেছে, কাল রেজাল্ট বেরোবে।
–কলেজে গিয়ে খোজ নিয়ে আয়।
–সেতো যাবো।ভাবছি কি হবে?
–ভাবার সময় ভাবতে হয়।এখন ভেবে কি হবে?
রাতে ডায়েরী নিয়ে বসতে স্যাণ্ডির কথা মনে পড়ল।ও বলেছিল গডের কাছে প্রেয়ার করেছে।মেয়েটার মধ্যে হিপোক্রাইসি নেই।যা বলার স্পষ্ট বলে দেয়।পাস করেছে শুনলে খুশি হবে।পর মুহূর্তে খেয়াল হয় ওর বাবা তাকে যেতে নিষেধ করেছে।স্যাণ্ডির সঙ্গে তার আর দেখা হবে না।মোবাইল বাজতে দেখল,জনা।বিরক্তিতে মিউট করে দিল।নিজেকে ভীষণ একা মনে হয়।স্যাণ্ডির সঙ্গে দেখা হবেনা এই ভেবে কি?

চলবে —————————